Uttara, Dhaka, Bangladesh

+8801707386530

mail@zcl.com.bd

Why the agriculture of Bangladesh still so primitive? Why so many people’s are engaged in Agricultural Activities? Why so many people grow too much rice and overeating rice?


বিশ্বের একেবারে অতিরিক্ত হতদরিদ্র দেশগুলো ছাড়া, অন্য কোনো দেশে এ যুগে এত লোক আর কৃষির সাথে পড়ে নেই। USA তে মাত্র ২% লোক কৃষিতে জড়িত। জাপানে ৩%, সকল ইউরোপিয়ান দেশে বা উন্নত দেশে ৫% থেকে সর্বোচ্চ ১০/১২% লোক কৃষিতে জড়িত। এই সামান্য সংখ্যক লোকই এত কিছু উৎপন্ন করে যে তারা নিজেরা খেয়েও প্রচুর রপ্তানী করে।


অথচ বাংলাদেশে ৬০/৭০% লোক কৃষিতে জড়িত থেকেও তারা একমাত্র ধান বাদে অন্য সব কিছুতেই পরনির্ভরশীল । এদেশের যে ডিম, দুধ, মাছ, মাংস, ফল উৎপাদন ও মাথাপ্রতি খাবার এর পরিমান বিশ্বে একেবারেই নিম্নে। স্বাস্থ্যের জন্য অত্যাবশ্যক এসব খাবার দেশের সিংহভাগ লোকই খেতে পারে না। এসবের আসল কারন কি? কারন আর কিছুই না, দেশে শিল্পের প্রসার না হলে, ব্যাপক লোকের কর্মসংস্থান না হলে, মানুষের নিশ্চিত আয় না হলে কেও নিয়মিত ডিম, দুধ, মাছ, মাংস, ফল, শাকসবজি খাবে না।


১৮ কোটি লোকের দেশে দিনে ৩/৪ কোটি ডিম উৎপাদন হলেও সে ডিম বিক্রি হয় না। যে দেশের ১০০% লোক চিকেন খায়। অথচ এ দেশে চিকেন উৎপাদন হয় মালয়েশিয়ান দের সমান। মালয়েশিয়ায় জনসংখ্যা সাড়ে তিন কোটি আর আমাদের ১৬/১৭ কোটি। ১৭ কোটি লোকের দেশে আজও ১টি উন্নতমানের গ্রীনহাউজ কেহ করেনি যেখানে উন্নতমানের ফুল, সালাদ ফসল বা উন্নত মেলন উৎপাদন হয়। ঢাকার সব বড় বড় হোটেলের জন্য এসব পন্য প্রতিদিনই বিদেশ হতে আসে।

প্রতিটি লোক দিনে একটি কলা খেলে দিনে ১৭ কোটি কলার দরকার, ৩৫০ দিনে কতটি দরকার? তারজন্য কত জমিতে কলার চাষ করা প্রয়োজন? এখন কতটি কলা দিনে উৎপাদন হয় আমাদের দেশে? তারপরেও যে কলা উৎপাদন হয়, তা ঢাকাতে আসে খোলা ট্রাকে আদিম যুগের মত। পৃথিবীর যেসকল দেশে মোটেই কলা চাষ সম্ভব না, তারাও দিনে ১টি কলা খায়, আর সে সকল কলা খুবই উন্নতমানের। অথচ আমাদের দেশে? কলা যে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে পাকানো যায় সেই প্রযুক্তি আজও এদেশে চালু হয়নি। 


যে দেশের সব স্থানে অ্যাভোকেডো সহজে ফলানো যাবে সে দেশের লোক এই সুপার হেলদি ফ্রুট খাওয়াতো দূরের কথা চিনেও না। আমেরিকানরা সে দেশে প্রচুর অ্যাভোকেডো ফলায়, তারপরও মেক্সিকো হতে বছরে ১০/১১ লাখ টন আমদানী করে। তারা প্রতিজন বছরে গড়ে ৪ কেজি অ্যাভোকেডো খায়। বাংলাদেশের লোক একজন বছরে ১ কেজি অ্যাভোকেডো খেলে ১৭ কোটি কেজি অ্যাভোকেডো লাগবে, যার অর্থ এক লাখ ষাট হাজার টন, যা ফলাতে ৩০/৪০ হাজার একর জমিতে অ্যাভোকেডোর চাষ করতে হবে। হ্যাস জাতের যে অ্যাভোকেডো সারা বিশ্বে বেশি জনপ্রিয় ও দাম বেশি সেই এ্যাভোকেডো এদেশে সব স্থানে সহজেই চাষ করা যাবে।


সরকার এখন কৃষির জন্য যে সমস্ত কাজ করছে তা দেশের লোকের সত্যিকার তেমন কোন কাজে আসছে না। 


যেমন সার বা অন্য পন্যে যে ভুর্তুকী দিচ্ছে তাতে কি লাভ হচ্ছে? সস্তা ফসল বেশি তৈরি করে সস্তা দামে বিক্রী করছে। সারা দেশের সব লোক বাড়ী বাড়ী হাসমুরগী গরু ছাগল পুষছে, কিন্তু খোজ নিন বছরে কয়টি ডিম বা কতটুকু দুধ বা মাংশ খাই, একেবারেই তুচ্ছ। যে কোন স্কুলে যান খোজ নিন কতজন সকালে ডিম খেয়ে এসেছে। একেবারেই হতাশাজনক।


সরকার কৃষির থেকে শিল্পের উন্নয়নে যতবেশি মনোযোগ দিবে কৃষির উন্নতি এমনিতেই হবে। দেশের ব্যবসায়ীরা এখন নতুন নতুন ব্যবসায় বিনিয়োগে সক্ষমতা অর্জন করেছে। কিন্তু চাহিদা নেই বলে কেও দুধ, ডিম, ফল সহ প্রক্রিয়াজাত খাদ্য উৎপাদনে বিনিয়োগ করছে না। এসবের মুল কারন দেশে চাহিদা নেই। চাহিদা বাড়লে ডিম, দুধ, মাছ বা মাংস, ফলমূলের দাম বৃদ্ধি পেলে রাতারাতি মানুষ এসব ব্যবসায় বিনিয়োগ করবে। তখনই কৃষির সত্যিকারের উন্নতি হবে।

Suggested Articles

image